সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসছে ঠান্ডা বাতাস। আর তা হিমালয় পর্বতের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন দিক দিয়ে ঢুকছে বাংলাদেশে। এ জন্য উত্তরাঞ্চলের মানুষ এখন কাঁপছে শীতে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে পর পর চার দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড তেঁতুলিয়ার দখলে থাকলেও শনিবার তা দখলে নিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। সেখানে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবারের চেয়ে আরও ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই কনকনে শীত অনুভূত হয় পঞ্চগড়ে। রাত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তবে আকাশে মেঘ না থাকায় এবং হালকা কুয়াশার কারণে শেষ রাতে তুলনামূলকভাবে কম শীত অনুভূত হয়েছে। মেঘমুক্ত আকাশে শনিকার খুব সকালেই দেখা মেলে সূর্যের। তবে সকাল থেকেই হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় রোদের উত্তাপ তেমন লাগেনি। এ অবস্থা চলে বিকেল পর্যন্ত।
এদিকে কনকনে শীতের কারণে জবুথবু হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুরসহ আশপাশের জনপদের মানুষ। উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা সাধ্য অনুযায়ী শীত নিবারণে জন্য শীতবস্ত্র কিনতে পারলেও, খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষগুলো রয়েছে চরম বিপাকে। তারা এখনও আছে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিনা মূল্যে শীতবস্ত্রের বিতরণের আশায়।
গ্রামাঞ্চলের মানুষ খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছে। গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে দিনে-রাতে আগুন জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, উত্তর গোলার্ধের সাইবেরিয়ান বাতাস হিমালয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সরাসরি পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন দিক দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। এ কারণে তাপমাত্রা দ্রুত কমে আসছে। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এ অবস্থা আরও দুই-তিন দিন থাকতে পারে।